শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন
পটুয়াখালী প্রতিনিধি ॥ মহিপুর মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সদ্য ঘোষিত কমিটিতে ছাত্রলীগের সাবেক এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত নেতাদের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে ছাত্রদলের অভ্যন্তরে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কলেজ ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও ক্ষোভ এখন প্রকাশ্যে চলে এসেছে।
নতুন কমিটিতে মো. রবিউল ইসলামকে সভাপতি এবং আসিবুল হককে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিতর্ক শুরু হয় যখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে রবিউল ও রাফির ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্ট ছবি ও তথ্য। রাফি বর্তমানে ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক, অথচ তিনি আগে ছাত্রলীগের একই পদে ছিলেন বলে জানা গেছে। এমনকি তাঁর পক্ষেও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টদের অভিনন্দন বার্তা দেখা গেছে ফেসবুকে।
এই ঘটনাকে ঘিরে ছাত্রদলের একাংশের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এক সংবাদ সম্মেলনে তারা অভিযোগ করেন, “একটি মহল চক্রান্ত করে ছাত্রদলের আদর্শ বিরোধী লোকদের কমিটিতে স্থান দিয়েছে।” সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র সহ-সভাপতি রাইসুল ইসলাম রুপু বলেন, “ছাত্রদলের দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে যারা ছাত্রলীগে ছিলেন তাদের ঠাঁই দেওয়া হয়েছে।”
পদবঞ্চিত নেতারা বলেন, “সংগঠনের আদর্শ নীতিকে উপেক্ষা করে স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী কমিটির নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে। এতে ছাত্রদলের ভাবমূর্তি ও গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।”
রবিউল ইসলাম অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি বহু বছর ধরে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। যেসব ছবি ভাইরাল হয়েছে, তা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ছাত্রলীগে আমি কখনো সক্রিয় ছিলাম না।”
পটুয়াখালী জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম চৌধুরী বলেন, “এ কমিটি নিয়ে নানা অভিযোগ এসেছে। আমরা যাচাই করে দেখছি। অনিয়ম প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Leave a Reply